ট্রাম্পের বাণিজ্য দূত হিসেবে জেমিসন গ্রিয়ার মনোনীত
- By Jamini Roy --
- 27 November, 2024
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির কৌশলগত পুনর্বিবেচনা শুরু করেছেন। এরই মধ্যে, তিনি আইনজীবী জেমিসন গ্রিয়ারকে মার্কিন বাণিজ্য দূত হিসেবে মনোনীত করেছেন। এই ঘোষণা তিনি গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিয়েছেন। সাবেক বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইথাইজারের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা গ্রিয়ারকে এবার দেশটির শীর্ষ বাণিজ্য কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, "জেমিসন একেবারে সঠিক ব্যক্তি, যিনি আমেরিকান বাণিজ্য নীতির শক্তিশালী নেতৃত্ব দিতে পারবেন।" তিনি আরও বলেন, “আমার প্রথম মেয়াদে, জেমিসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন চীনসহ বিভিন্ন দেশগুলোর বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্য অনুশীলনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে।”
এছাড়া, ট্রাম্প গ্রিয়ারের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডার মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি তৈরির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করে, যা ছিল এক ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধ। বিশেষ করে চীনা পণ্যগুলোর ওপর প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, মার্কিন-চীন বাণিজ্য সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তবে ট্রাম্প সরকার চীনের অর্থনৈতিক নীতিতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়।
জেমিসন গ্রিয়ার সম্প্রতি কিং অ্যান্ড স্প্যাল্ডিং আইন সংস্থার অংশীদার হিসেবে কাজ করছিলেন, যেখানে তিনি তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। গ্রিয়ারকে এখন বাণিজ্য দূত হিসেবে মনোনীত করার মাধ্যমে, ট্রাম্প আশা করছেন যে তার প্রশাসনের পরবর্তী মেয়াদে বাণিজ্য নীতির সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
এদিকে, গ্রিয়ার বাণিজ্য দূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে, তিনি ট্রাম্পের শুল্ক নীতি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়গুলো পরিচালনা করবেন। বিশেষ করে, ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন পরবর্তী সিনেটে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে, তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদে গ্রিয়ারকে নির্বাচন করে একটি শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ বাণিজ্য কূটনীতিকের হাতেই দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের দায়িত্ব তুলে দিল। গ্রিয়ারের বাণিজ্য বিষয়ক পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং শুল্ক নীতি নিয়ে তার দৃঢ় অবস্থান, যা ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রশাসনে অত্যন্ত কার্যকরী ছিল, ভবিষ্যতেও দেশের বাণিজ্য নীতির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।